, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ

​গাজায় ত্রাণের আটায় বিষাক্ত মাদক মেশানোর অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০২:৫৯:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০২:৫৯:০৮ অপরাহ্ন
​গাজায় ত্রাণের আটায় বিষাক্ত মাদক মেশানোর অভিযোগ ছবি- সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (এক্স)

গাজা উপত্যকায় বিতরণকৃত ত্রাণের আটায় নেশাজাতীয় মাদক মেশানোর অভিযোগ তুলেছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রীতে উচ্চমাত্রার আসক্তি সৃষ্টিকারী পদার্থ মিশিয়ে দিচ্ছে।

গাজার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, আটায় আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদান মেশানোর মাধ্যমে গাজার জনগণের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সমাজ কাঠামো ধ্বংস করে দেওয়ার এক ভয়াবহ নতুন ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। আমরা এই অপরাধের জন্য ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে সরাসরি দায়ী করছি। এর উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি সমাজে মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটিয়ে তাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেওয়া।

গাজাভিত্তিক একজন ফার্মাসিস্ট ও লেখক ওমর হামাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, খবরে এসেছে, ইসরায়েল আটার ব্যাগে করে চোরাপথে অক্সিকোডন ঢোকাচ্ছে। শুধু প্যাকেটে নয়, এমনকি আটার মধ্যেও মেশানো হচ্ছে মাদক।

গাজার মাদকবিরোধী কমিটি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত যেসব ত্রাণকেন্দ্র থেকে খাদ্য আসছে, তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। কোনো সন্দেহজনক উপাদান পেলে তা দ্রুত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান।

এদিকে জাতিসংঘ চলতি সপ্তাহে গাজায় খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং একে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানায়, খাদ্য নিতে আসা মানুষের ওপর গুলি চালানো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৪১০ জনের বেশি নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, ক্ষুধার্ত গাজাবাসীরা এখন এক নিষ্ঠুর বাস্তবতায় পড়েছে—হয় অনাহারে মারা যাওয়ার ভয়, নয়তো খাদ্য সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার আশঙ্কা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) চলতি বছরের ২৬ মে থেকে গাজায় খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। তার আগে প্রায় দুই মাস ইসরায়েল গাজায় সকল খাদ্য ও রসদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়, যা জাতিসংঘের মতে, গণদুর্ভিক্ষের সতর্ক সংকেত ছিল।

মে মাসে জাতিসংঘ জানায়, গাজার শতভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সূত্র: আল অ্যারাবিয়া
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : নিজস্ব প্রতিবেদক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
​‘এনবিআর সংস্কার’ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা

​‘এনবিআর সংস্কার’ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা