সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, নিহত ১ জন
-
আপলোড সময় :
২৩-০৬-২০২৫ ১২:২২:২৭ অপরাহ্ন
-
আপডেট সময় :
২৩-০৬-২০২৫ ১২:২২:২৭ অপরাহ্ন
ছবি- এ আই
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় আবু সাঈদ (৩১) নামের এক রাজমিস্ত্রির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আবু সাঈদ পাশের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি স্থানীয় একটি বাড়িতে নির্মাণকাজের জন্য অবস্থান করছিলেন।
জানা গেছে, দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার ওই বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা নৌকায় করে পালিয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী গাদালিয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে সেনাবাহিনী ওই গ্রামে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির পর অভিযানস্থলে আবু সাঈদের মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আবু সাঈদ কোনো রাজনৈতিক দল বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এবং তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন। তবে তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, “ঘটনাস্থল হাওরের একটি দুর্গম এলাকা। সেখানে পৌঁছাতে নৌকায় প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।” তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই অভিযান পরিচালনা করেন। তার ভাষায়, “গত শুক্রবার একরার হোসেন ও আতিকুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হন। একরার পক্ষের সন্ত্রাসীরা নিয়মিত প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করছিল। রোববার অভিযানকালে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়, যার পরিচয় পরে জানা যায়।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চলছে। অভিযানের পরবর্তী অগ্রগতি সম্পর্কে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : নিজস্ব প্রতিবেদক
কমেন্ট বক্স