বাংলাদেশ সরকার মেরিটাইম খাতের উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে সেগুলোর অনেকটাই বিচ্ছিন্ন, অপ্রতিষ্ঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে কার্যকর হয়নি।
আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানির সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে কোনো সুসংগঠিত নিয়োগ চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সেভাবে দৃশ্যমান নয়। অন্যদিকে ভারত বা ফিলিপাইন সরকারের মতো কোনো স্পষ্ট কূটনৈতিক রোডম্যাপও নেই, যেখানে মেরিটাইম খাতকে একটি বৈদেশিক আয়ের বড় উৎস হিসেবে কৌশলগতভাবে উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়। বিশেষ করে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোয় মেরিটাইম বা সিফারার সংশ্লিষ্ট কোনো বিশেষজ্ঞ বা নিবেদিত কর্মকর্তা নেই, যিনি এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখবেন বা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এতে যখন কোনো ক্যাডেট ভিসা সমস্যায় পড়েন বা বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির প্রয়োজন হয়, তখন তা আর এগোয় না। অন্য দেশের দূতাবাসগুলো যেখানে মেরিন অফিসার বা ক্রুদের জন্য আলাদা ডেস্ক চালু রাখে, সেখানে আমরা অনেকটাই অনুপস্থিত।
এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকে অবশ্যই একটি maritime-focused কূটনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ যেসব দেশ বা অঞ্চল নিয়মিতভাবে সিফারার নিয়োগ করে, তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিতে হবে। এসব চুক্তিতে বাংলাদেশের ক্যাডেটদের নিয়োগের নিশ্চয়তা, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সি টাইম (Sea Time) সহায়তার বিষয়ে আলোচনা থাকা উচিত।
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা পাঁচটি মেরিটাইম জোনে ভাগ করতে পারি। ফার ইস্ট জোন (চীন, জাপান, হংকং, কোরিয়া), সাউথ ইস্ট এশিয়ান জোন (সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়াসহ আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো), মধ্যপ্রাচ্য জোন (আরব আমিরাত, সৌদিআরবসহ জিসিসি-ভুক্ত দেশগুলো), ইউরোপিয়ান জোন (ইংল্যান্ড ও গ্রিসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র), আমেরিকান জোন (পানামা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো), উল্লিখিত প্রতিটি জোনে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে দুটি করে দূতাবাসে মেরিটাইম অ্যাটাশে বা কাউন্সেলর নিয়োগ করা প্রয়োজন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারকে ভিসা ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিতে হবে—এটি একটি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক চুক্তি। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু দেশ সম্মত হয় মেরিন পেশাজীবীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে। যেমন আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা, ন্যূনতম ডকুমেন্টেশন রাখা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান, এমনকি একাধিক ভ্রমণের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়া।
বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, হংকং, গ্রিস, সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), মাল্টা ও নরওয়ের মতো দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করলে তাৎপর্যপূর্ণ সুবিধা পাওয়া সম্ভব। কারণ এ দেশগুলোয় প্রচুর সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানির প্রধান কার্যালয় বা অপারেশনাল বেজ রয়েছে। এসব জায়গায় বাংলাদেশের ক্যাডেটদের ভিসা সহজ হলে নিয়োগ পাওয়া অনেকটাই নিশ্চয়তা পাবে।
এ এগ্রিমেন্ট শুধু ক্যাডেটদের উপকারে আসবে না; বরং এটি বাংলাদেশের সামুদ্রিক খাতকে বৈশ্বিকভাবে আরো দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে। ফলে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি ‘সেফ, স্কিল্ড ও ভিসা ফ্রেন্ডলি সাপ্লাই সোর্স’ হিসেবে পরিচিত হবে আন্তর্জাতিক নাবিক নিয়োগকারীদের কাছে।
এমএলসি-২০০৬ অনুযায়ী ত্রিপক্ষীয় মেরিটাইম কমিটি গঠন: বাংলাদেশের সিফারারদের জন্য হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ:
এমএলসি-২০০৬-কে বলা হয় নাবিকদের অধিকার সুরক্ষার আন্তর্জাতিক দলিল বা ম্যাগনাকার্টা। বিশ্বব্যাপী মেরিটাইম শিল্পে শ্রমিক অধিকার ও কল্যাণের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত হয় মেরিটাইম লেবার কনভেনশন (এমএলসি) ২০০৬। এ চুক্তি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দ্বারা প্রণীত এবং এর মাধ্যমে সিফারারদের কাজের পরিবেশ, জীবনযাত্রার মান এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য একটি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। এমএলসি-২০০৬-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ত্রিপক্ষীয় কমিটি, যা সরকারের পাশাপাশি শ্রমিক ও মালিক পক্ষের যৌথ অংশগ্রহণে একটি পরামর্শমূলক ও নীতিনির্ধারক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। স্পেশাল ট্রাইপার্টাইট কমিটি (এসটিসি) গঠনের বিষয়টি মেরিটাইম লেবার কনভেনশন, ২০০৬-এর ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ আইএলওর এই কনভেনশনের একটি স্বাক্ষরকারী দেশ হলেও এখন পর্যন্ত আমরা এসটিসি গঠন করিনি, যা কনভেনশনের শর্তানুযায়ী অপরিহার্য। এটি দ্রুত গঠন করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা যায় এবং সমুদ্রভিত্তিক শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি কার্যকর ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি সিফারারদের অধিকার সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক নিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি:
এমএলসি-২০০৬-এর বিভিন্ন ধারা সরাসরি ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর কথা বলে। আর্টিকেল (২)-এ বলা হয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সিফারারদের অধিকার সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে তারা ন্যায্য কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সঠিক মজুরি পায়। এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার, শিপ মালিক এবং সিফারারদের প্রতিনিধিদের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক। আর্টিকেল ৫-এ বলা হয়েছে, প্রতিটি সদস্য দেশকে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাহাজ মালিকদের ও নাবিকদের সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ অর্থাৎ জাহাজ মালিক ও নাবিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মতামত নিতে হবে।
রেগুলেশন ৫.১.৫-এ বলা হয়েছে, অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর ও নিরপেক্ষ প্লাটফর্ম থাকা জরুরি, যা ত্রিপক্ষীয় কাঠামোর মাধ্যমেই সম্ভব। এছাড়া গাইডলাইন বি১.৪.১ ও বি৫.১.৪ ধারায় ট্রাইপার্টাইট কনসালটেশনের ভূমিকা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সম্ভাব্য উপকারিতা:
বাংলাদেশে একটি কার্যকর ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হলে তা সিফারারদের জন্য নানা সুবিধা বয়ে আনতে পারে:
১. সিফারারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত
সাধারণত নীতিনির্ধারণে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা উপেক্ষিত হয়। কিন্তু এ কমিটিতে ইউনিয়ন বা কর্মী প্রতিনিধি থাকলে সিফারারদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমস্যাগুলো সরাসরি আলোচনায় স্থান পাবে। ফলে ন্যায্য ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।
২. মালিক পক্ষের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি
শিপ মালিকরা অনেক সময় খরচ কমাতে গিয়ে শ্রমিক স্বার্থ উপেক্ষা করে। ত্রিপক্ষীয় কাঠামোয় মালিক পক্ষকে সরাসরি যুক্ত করে রাখা হলে তারা বাধ্য থাকবে ন্যূনতম শ্রম মান মেনে চলতে এবং শ্রমিকের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে।
৩. বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ
কমিটিতে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে নীতিমালার প্রণয়ন হবে বাস্তবতাভিত্তিক। ফলে তা শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর হবে। এটি নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট হিসেবে কাজ করবে।
৪. আন্তর্জাতিক মান পূরণ
এমএলসি ২০০৬-এর শর্ত অনুযায়ী, প্রতিটি সদস্য দেশকে অবশ্যই সিফারারদের জন্য অভিযোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা রাখতে হবে। একটি ট্রাইপার্টাইট কমিটি এসব বিষয় তদারক করতে পারবে, যা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাজ নিশ্চিত করবে।
৫. নির্ভরযোগ্য অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
যদি কোনো সিফারার চাকরিতে অবিচার, বেতন না পাওয়া বা নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হন, তাহলে এ কমিটি একটি বিশ্বস্ত, নিরপেক্ষ ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এতে করে আইনি সহায়তা পাওয়া আরো সহজ ও কার্যকর হবে।
৬. আন্তর্জাতিক নিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি
যখন একটি রাষ্ট্র শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে স্বচ্ছ ও কার্যকর কাঠামো গঠন করে, তখন তা আন্তর্জাতিক নিয়োগকারীদের জন্য একটি পজিটিভ বার্তা দেয়। বিদেশী শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশী সিফারারদের নিয়োগে আগ্রহী হবে। কারণ তারা বুঝতে পারবে যে এখানে শ্রম আইন মেনে চলা হয় এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কার্যকর।
৭. জাতীয় মেরিটাইম এমপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট
মেরিটাইম বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এই স্পেশাল ট্রাইপার্টাইট কমিটি পরিচালিত হবে, যেখানে জাহাজ মালিক, নাবিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে। মেরিটাইম হাবগুলোয় নিয়োগকৃত মেরিটাইম অ্যাটাশেরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এই ত্রিপক্ষীয় কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সংযোগ রক্ষা করে কাজ করবেন। নাবিক কল্যাণ পরিদপ্তর এ টাইপার্টাইট কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত আইএলওর নাবিকদের অধিকারবিষয়ক সভায় যোগদান করেন। যেখানে জানানো হয়েছে, বিগত সরকারের সময়ে মেরিটাইম লেবার কনভেনশন অনুসরণ না করা এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতি আইএলওকে না জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আইএলওর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আগ্রহ তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইএলও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে আপাতত বিরত থাকে।
এমএলসি ২০০৬ শুধু একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি নয়, বরং এটি একটি ব্যবস্থাগত দৃষ্টিভঙ্গি। যেখানে শ্রমিক, মালিক ও সরকার একত্রে কাজ করে একটি ন্যায্য, নিরাপদ ও টেকসই মেরিটাইম পরিবেশ গড়ে তোলে। বাংলাদেশের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় মেরিটাইম কমিটি গঠন হবে নাবিকদের অধিকার সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরির একটি বড় পদক্ষেপ। এটি শুধু নাবিকদের জন্য নয়, বরং দেশের সামগ্রিক মেরিটাইম খাতের জন্যও একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করবে।
সমাধানের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি
বাংলাদেশের মেরিন ক্যাডেটরা মেধা ও দক্ষতায় পিছিয়ে নন, কিন্তু কাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং কৌশলগত ঘাটতির কারণে তারা চাকরি পাচ্ছেন না। ভিসা সমস্যা, মানের স্বীকৃতি এবং বিদেশী শিপিং কোম্পানির আস্থার অভাব মিলিয়ে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পাশাপাশি সিফারার্স ইউনিয়ন ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, স্থাপন করতে হবে স্বচ্ছ নেতৃত্ব এবং গড়তে হবে কমিউনিটি ইনস্টিটিউশন। নিজেদের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে হবে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
লিখেছেনঃ
ড. রেজাউল করিম চৌধুরী: ক্যাপ্টেন, মেরিটাইম পরামর্শদাতা, আইনজীবী; ফ্যাকাল্টি ইউনিভার্সিটি টেরেংগানু, মালয়েশিয়া
কাজী মো. আবু সাইদ: মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও মেরিটাইম পলিসি গবেষক