, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি, এনসিপি কিংবা সরকার।কারোও সাথেই দূরত্ব চায়না জামায়াত...।

  • আপলোড সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ০৯:১৫:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৪-২০২৫ ০৯:১৫:৫৯ অপরাহ্ন
বিএনপি, এনসিপি কিংবা সরকার।কারোও সাথেই দূরত্ব চায়না জামায়াত...।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সরকার, বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তরুণদের দল এনসিপি-কারোর সঙ্গেই দূরত্ব চায় না দলটি। এজন্য নির্বাচনের সময়সীমা ইস্যুতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন কৌশলেরই অংশ। বিএনপির সঙ্গে থাকার বিষয়ে জামায়াতের ওপর তৃণমূলের একটি বড় অংশের চাপ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করা হলেও নির্বাচনি মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াত। দুই শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলীয় অবস্থানকে অনেকে ‘অস্পষ্ট’ বলছেন। পাশাপাশি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়েও দলীয় অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে সমালোচনা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াতের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিবন্ধন পাওয়া। অধিকাংশ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও দলটি প্রতীক নিয়ে তেমন প্রচারণা করতে পারছে না, যা রাজনৈতিক মাঠে জামায়াতকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। কৌশল হিসাবেই সরকার, বিএনপি ও এনসিপি-সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণ সরকারে তাদের প্রভাব আছে। জামায়াত আমীর বলেন, সংস্কারের জন্য কতটুকু সময় লাগবে, নির্বাচন কখন হবে-এটা নিয়ে কথা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে। এটা আমরা মনে করি, বুঝেশুনেই বলেছেন তিনি। এতে তার (প্রধান উপদেষ্টা) আন্তরিকতাও আছে বলে আমি মনে করি। এখন শুধু দেখতে চাই, তার দেওয়া সময়সীমার ভেতরে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় পদক্ষেপ নেবেন। এর জন্য অনেকের অনেক শর্ত থাকতে পারে। আমাদের শর্ত হচ্ছে পাঁচটি খাতে কিছু সংস্কার লাগবে। এগুলো হচ্ছে-নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, সিভিল প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। এই প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে যদি নির্বাচনে যাওয়া যায়, তাহলে নির্বাচনটা অর্থবহ হবে এবং জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটবে। এছাড়াও কিছু সংস্কার আছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে হবে। একটা নির্বাচিত সরকার এসে তারা এ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আরোও বলেন, সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া যদি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরির জন্য হয়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জুনেও হতে পারে। আমরা কেন ফেব্রুয়ারির আগে বললাম, কেন রমজানের আগে বললাম? কারণ, রমজান মাস থাকবে ফেব্রুয়ারির ১৮ থেকে শুরু করে ২০ মার্চ। এরপর এপ্রিলে সাধারণত ঝড় শুরু হয়ে যায়, প্রাকৃতিক আবহাওয়া খারাপের দিকে যায়। তারপর কুরবানির ঈদ। আবার দুটি পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও এইচএসসি) এর মধ্যে পড়বে। এরপর বর্ষার মৌসুম। এসবের কারণে নির্বাচনটা মধ্য ফেব্রুয়ারির আগে হলে অনেক ভালো হয়। নিজামীপুত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলে কে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চায় এটা পুরো ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। এখন আবার শুরু করেছে সকালে এক কথা আর রাতে আরেক কথা বলা। আবার অন্যদিকে এক নেতার এক কথা আবার আরেক নেতার আরেক কথা। অর্থাৎ কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই। আর তাই তো দোয়া করি এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব দ্রুত মুক্তি পেয়ে শহিদের এই রক্তভেজা সংগঠনটির (জামায়াত) হাল ধরুক।’ এটা ঠিক,রাজনীতিতে ৩ টি ধারা দেখা যাচ্ছে। তবে এটাই শেষ কথা নয়! নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দল ব্যক্তিগত লাভের হিসেব আর এম্পি হওয়ার নিশ্চয়তা কোন দলে গেলে বেশি থাকবে তার ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হবে কোন দল কোন জোটে থাকছে!

নিউজটি আপডেট করেছেন : নিজস্ব প্রতিবেদক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
​‘এনবিআর সংস্কার’ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা

​‘এনবিআর সংস্কার’ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর বার্তা