বাংলাদেশের প্রায় ২০,০০০ নৌ-কর্মকর্তা ও নাবিক দেশী ও বিদেশী সমুদ্রগামী বিভিন্ন প্রকারের জাহাজে কর্মরত থেকে আন্তর্জাতিক নৌ অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। এই বিশেষায়িত রেমিট্যান্স যোদ্ধাগন সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান তথা সাইন-অন এবং চাকুরী শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন তথা সাইন অফ করণকালীন সময়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসমূহে প্রবেশ এবং বহির্গমনের সময় বিড়ম্বনা ও বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আগমন ও বহির্গমকালীন সময়ে সীফ্যায়ারারদের চেকিং এর জন্য বিশেষ কাউন্টার/বুথ না থাকায় সীফ্যায়ারারগন যথাযথ সময়ে জাহাজে যোগদানে ব্যর্থ হয়ে চাকুরী হারাচ্ছে এবং চাকুরীর সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। ফলশ্রুতিতে বিদেশী জাহাজ মালিকগণ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নাবিক নিয়োগ দিয়ে জাহাজ পরিচালনা করে থাকেন। এতে বাংলাদেশী নাবিকরা বেকার হয়ে পড়ছেন এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একজন সীফ্যায়ারারের বেতন পদ অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০০ ইউএস ডলার থেকে ২০.০০০ (বিশ হাজার) ইউএস ডলার হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিশেষায়িত রেমিট্যান্স যোদ্ধাগনকে Frontliner Key Worker বিবেচনায় তাদের জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন বুথ রাখা হয়েছে। সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসমূহে সীফ্যায়ারারদের জন্য বিশেষ বুথ অথবা যৌথভাবে একটি বুথ এর ব্যবস্থা করা হলে তারা নির্বিঘ্নে এবং স্বপ্ন সময়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন এবং যথাসময়ে জাহাজে যোগদান করতে পারবেন। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৫ ৫০ জন সীফ্যায়ারার আসা যাওয়া করেন। তাই বাংলাদেশী সমুদ্রগামী সীফ্যায়ারারদের চাকুরীর বাজার সমুন্নত রাখতে এবং বাংলাদেশের জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ উন্মুক্ত/সচল রাখার স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসমূহে সীফ্যায়ারারদের ভ্রমণের জন্য বিশেষ ইমিগ্রেশন বুথের প্রয়োজন।
বর্ণিত প্রেক্ষাপটে গত ১০/০২/২০২৫ এ বাংলাদেশী সীফ্যায়ারারদের সমুদ্রগামী জাহাজে চাকুরীর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে গমন এবং চাকুরী হতে অব্যাহতি নিয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে আগমনের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে সীফ্যায়ারারদের জন্য "বিশেষ ইমিগ্রেশন বুথ চালুকরণের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর যথা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন
০১.কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম
(ই), বিএসপি, এনইউপি, বিসিজিএম, বিসিজিএমএস, এনডিসি, বিএন,
মহাপরিচালক, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর
০২.ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ
চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ( চলতি দায়িত্ব)
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর