​যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনায়

হরমুজ প্রণালি থেকে ফিরে গেল দুই সুপারট্যাংকার

আপলোড সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৬-২০২৫ ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে সামুদ্রিক পরিবহন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে দুটি সুপারট্যাংকার হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করেও তাদের গন্তব্য পরিবর্তন করে ফিরে গেছে। এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার ‘কোসউইজডম লেক’ ও ‘সাউথ লয়্যালটি’ নামের দুটি খালি সুপারট্যাংকার হরমুজ প্রণালির দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। প্রতিটি জাহাজের ধারণক্ষমতা প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহনের উপযোগী। তবে উভয় জাহাজ গন্তব্যে না গিয়ে মাঝপথেই দিক পরিবর্তন করে। এটি বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিকল্প নৌরুট ব্যবহারের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে বিশ্লেষণ করেছেন পর্যবেক্ষকরা।

ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, হরমুজ প্রণালি ঘিরে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বৃদ্ধির কারণে তেলবাহী জাহাজগুলোর মধ্যে ভিন্ন রুটে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জাহাজমালিক ও তেল ব্যবসায়ীরা বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের রুট নির্ধারণ করছেন। বিশেষ করে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ার ফলে তেল পরিবহনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ। এর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি, কারণ বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এই পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তর একে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিবহন পথ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইরান অতীতে একাধিকবার হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হরমুজ প্রণালিকে ঘিরে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
সূত্র: আল জাজিরা
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক ও প্রকাশক : শামীম আহমেদ


অফিস :

অফিস : গুলফেশা প্লাজা (১০ম তলা), বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭

ইমেইল : info@shomoybhela.com

মোবাইল : +880 1335-149005