
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হালনাগাদ কার্যক্রমের আওতায় সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছেন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় জুবাইদা রহমানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তিনি গত মে মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ঢাকায় অবস্থানকালে তাঁর ভোটার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংগ্রহ করেন। এ কার্যক্রম শেষ হয় ঈদুল আজহার আগেই। এরপর ৫ জুন তিনি লন্ডনে ফিরে যান।
২০০৮ সালে প্রথমবার ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্যে ছিলেন এবং তখন তাঁরা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরে জুবাইদা রহমান ভোটার হতে যাচ্ছেন।
ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, “ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাঁর (জুবাইদা রহমান) তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।” তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হবে নির্ধারিত সময়সীমা শেষে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় নির্বাচন হলে আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা আগেই চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা আছে কমিশনের।
পেশায় চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। যদিও তিনি কোনো রাজনৈতিক পদে নেই, তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। তিনি দেশে ফেরার পর সিলেটে তাঁকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে। শহরজুড়ে তাঁর নাম ও ছবি সম্বলিত বেনামি পোস্টার দেখা গেছে, যেখানে তাঁকে সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
আইন অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে হয়। ভোটার হলে তিনি দেশের যেকোনো নির্বাচনী আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে জুবাইদা রহমানের ভোটার হওয়া রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।